Sex Therapy

July 3, 2025

সাইকোসেক্সুয়াল থেরাপি, যা সেক্স থেরাপি নামেও পরিচিত, হলো মনোবৈজ্ঞানিক চিকিৎসার একটি ধরণ যা যৌন স্বাস্থ্য বিষয়ক সমস্যা সমাধান এবং সম্পর্কের মধ্যে যৌন কর্মক্ষমতা ও অন্তরঙ্গতা উন্নত করার উপর গুরুত্ব দেয়।

শুধুমাত্র হরমোনাল বা জেনেটিক কারণেই নয়- চিন্তার অস্বাস্থ্যকর প্যাটার্ন, ভুল ধারণা, শৈশবের ট্রমা থেকেও সাইকোসেক্সুয়াল সমস্যাগুলো তৈরি হতে পারে। কখনো কখনো তা বিকৃতির পর্যায়ে যেতে পারে। এটি নিজের, অন্যের তথা সমাজের জন্য ভয়ঙ্কর হতে পারে।

এই ধরণের সমস্যায় ব্যক্তি নিজেকে দোষারোপ, ঘৃণা করতে পারেন। এমনকি মানসিক স্বাস্থ্য পেশাজীবির শরণাপন্ন হতেও কুন্ঠা বোধ করতে পারেন।

বাংলাদেশে অনেক দম্পতি এবং ব্যক্তি যৌন জীবনে অসন্তুষ্টির কারণে নীরবে মানসিক দূরত্ব তৈরি করছেন। সমাজে যৌন সমস্যা নিয়ে খোলামেলা কথা বলা এখনো অনেকের জন্য কঠিন, ফলে বহু মানুষ সময়মতো সাহায্য নিতে পারেন না। অথচ গবেষণা বলছে, যৌন জীবনের অসন্তুষ্টি অনেক সময় দাম্পত্য কলহ, অবিশ্বাস, হতাশা এবং বিচ্ছেদের প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

বেশিরভাগ যৌন সমস্যার মূল কারণ ভুল বোঝাবুঝি, অপর্যাপ্ত যৌন শিক্ষা, শারীরিক অসুবিধা, মানসিক চাপ এবং পারস্পরিক অসহযোগিতা।

অনেকে জানেন না, সময়মতো Sex Therapy অনেক জটিল সমস্যার সমাধান এনে দিতে পারে।

তবে Sex Therapy কখনোই কাউকে নির্দিষ্ট যৌন আচরণ বা সিদ্ধান্তে বাধ্য করে না। ইথিক্যাল গাইডলাইন অনুযায়ী, একজন Sex Therapist কখনোই ক্লায়েন্টকে লজ্জিত, ছোট বা প্রভাবিত করতে পারেন না। থেরাপিস্টের ভূমিকা হলো, নিরাপদ এবং সম্মানজনক পরিবেশে যৌন সমস্যা নিয়ে খোলামেলা কথা বলার সুযোগ তৈরি করা।

Sex Therapist উভয় পার্টনারের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং যৌন সমস্যার মানসিক, শারীরিক ও সম্পর্কগত কারণগুলো বিশ্লেষণ করতে সহায়তা করেন। থেরাপিস্ট যৌন সচেতনতা, পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং অসহিংস যোগাযোগ গড়ে তুলতে সহায়তা করেন।

Sex Therapy দম্পতিরা একসাথে নিতে পারেন, আবার ব্যক্তিগতভাবেও নেওয়া যায়। থেরাপির মাধ্যমে অনেক সময় যৌন জীবনের প্রতি ভয়, সংকোচ এবং ভুল ধারণা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। আবার কখনো কখনো গুরুতর শারীরিক বা মানসিক সমস্যার ক্ষেত্রে থেরাপিস্ট প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সহায়তা নেয়ার পরামর্শ দেন।

Sex Therapy কখনোই শুধু শারীরিক বিষয় নয়। এটি মানসিক প্রশান্তি, পারস্পরিক সম্মান এবং সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা ফিরিয়ে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

গবেষণায় দেখা গেছে:

1. সেক্স থেরাপি দম্পতির শারীরিক ও মানসিক ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে সাহায্য করে। (Masters & Johnson)


2. নারীদের যৌন ইচ্ছা কমে গেলে সেক্স থেরাপি তা ধীরে ধীরে বাড়াতে সাহায্য করে। (Samadi et al., 2024)


3. বন্ধ্যাত্বের কারণে যারা মানসিক দূরত্বে ভুগছিল, সেক্স থেরাপি তাদের সম্পর্ক উন্নত করেছে। (Thehlerapists et al., 2022)


4. অনলাইনে সেক্স থেরাপি নিয়ে অনেক দম্পতি যৌন সমস্যা কাটিয়ে উঠেছে। (Wang et al., 2023)


5. সেক্স থেরাপি যৌন জীবন নিয়ে ভয়, লজ্জা এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। (Rullo et al., 2021)


6. বয়স বাড়ার পরে যৌন জীবনের সমস্যা থাকলেও সেক্স থেরাপি তা অনেকটাই সহজ করে দেয়। (PMC, 2022)


7. সন্তান জন্মের পর সেক্স থেরাপি নিলে দম্পতির যৌন জীবন আবার স্বাভাবিক হতে পারে। (GES Model Trial, 2021)


8. করোনাকালে সেক্স থেরাপি দম্পতিদের মানসিক চাপ কমিয়ে যৌন জীবনে সুখ ফিরিয়ে এনেছে। (BMC Psychology, 2024)


9. সেক্স থেরাপি দম্পতিদের একে অপরকে বুঝতে ও যৌন জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য পেতে সাহায্য করে। (VerywellHealth Overview)


10. সেক্স থেরাপি নিয়ে যারা দীর্ঘমেয়াদী কাজ করেছে, তাদের সম্পর্কের মান অনেক ভালো হয়েছে। (Christensen & Jacobson, 2004)

 

আমাদের Sex Therapist গণ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ডিগ্রি, প্রশিক্ষণ এবং অভিজ্ঞতার আলোকে অত্যন্ত গোপনীয়তা বজায় রেখে এই সংবেদনশীল কাজটি পরিচালনা করেন।

আমাদের Sex Therapy সেশনগুলো অনলাইন ও অফলাইনে অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি সেশন সাধারণত ১ ঘণ্টা দীর্ঘ। সেশনের শুরুতে ব্রিফ দেওয়া হয় এবং ক্লায়েন্টের কথা সমান গুরুত্ব দিয়ে মনোযোগ সহকারে শোনা হয়। সেশনের শেষ ভাগে থেরাপিস্ট প্রয়োজন অনুযায়ী ফিডব্যাক ও সামারি প্রদান করতে পারেন।

Sex Therapy–তে কেসের ধরণ অনুযায়ী ৩ থেকে ৬ টি সেশনের মধ্যে অগ্রগতি প্রত্যাশিত। কোন কোন ক্ষেত্রে ১ম সেশন থেকে অগ্রগতি হতে পারে।

প্রতি ১ ঘন্টার সেশনের ফি থেরাপিস্টের দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং ক্লায়েন্টের চাহিদার ভিত্তিতে ১০০০ থেকে ৫০০০ টাকার মধ্যে হতে পারে।